Wednesday, October 19, 2016

'আয়নাবাজি' মুভি রিভিউ

Share it Please

নিরীহ শ্রেণীর একজন ভীতু মানুষ আয়না। মধ্যবিত্ত পরিবারে যার জন্ম। মায়ের অসুখের টাকা জোগাড়ের জন্য আসে ঢাকা শহরে। কিন্তু এই ইট-পাথরের শহরে কে দিবে তাকে এত টাকা? পরিচয় হয় ফটো স্টুডিও একজন মালিকের সাথে, যে আয়নাকে একটা কাজের সন্ধান দেয়।

কাজ আসামীর হয়ে জেল খাটা। প্রথমের একজন ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত শিল্পপতির জেল খেটে দেয়ার মাধ্যমে আয়নার পদার্পন হয় মানুষের চরিত্রের মধ্যে মিশে যাওয়ার নতুন এক খেলায়।

এভাবে একের পর এক চরিত্রের সাথে মিশের যেতে থাকে আয়না। কখনও বা বড়লোকের উন্মাদ ছেলের তার গাড়ির ড্রাইভারের ছেলের হত্যার দায়ে আবার কখনও বা স্বনামধন্য রাজনীতিবিদের হয়ে জেল খাটে আয়না।
এর মাঝেই মহল্লার একটা মেয়ের সাথে প্রেম হয় আয়নার। সে সবকিছু ছেড়েছুড়ে তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হতে চায়। কিন্তু সেখান থেকে তাকে তুলে নেয় এক রাজনৈতিক নেতার গুন্ডাপান্ডারা এবং তাকে বাধ্য করে একজন নিরীহ স্কুল মাষ্টারের খুনের দায়ে জেল খেটে দেয়ার জন্য।

আয়না রাজি হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবারের মত এবার সে মুক্তি পায় না। আয়নার ফাঁসীর আদেশ হয়ে যায় এবং বছরের পর বছর জেল খাটতে থাকে। এরপর আয়নার ফাঁসী হয়ে যায় এবং ছবির শেষ এখানেই।

কিন্তু না, আয়নাবাজির ভেলকি তো এখানেই। জেলখানায় একজন বৃধ্য হাবিলদারের সাথে পরিচয় হয় আয়নার। সে তার সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করে আয়নার সাথে। হাবিলদার বলে; "আমারও দেখতে মন চায় দু'দিন পর ফাঁসীর আসামীর অনুভূতিটা কেমন" আয়না তাকে বলে দেখবেন? আসেন আমার জায়গায়, দেখেন কেমন লাগে অনুভূতিটা। এরপরেই হাবিলদারকে আয়নার জায়গায় রেখে আয়না কৌশলে জেল থেকে বেরিয়ে পড়ে।

আহ; কি অসাধারণ বাংলা সিনেমা। বিরতির সময় মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মত বসে ছিল। ছবি শেষ হবার পরেও যেন দেখার আকাঙ্ক্ষা মিটে না। ইশ কেন যে এতো দ্রুত শেষ হয়ে গেল! অসাধারণ গল্প, গান, অভিনয় এবং চিত্রপট। হলে গিয়ে না দেখলে সত্যি ভীষণ মিস করবেন।

No comments:

Post a Comment

About me

Blogroll

About