একদিন আব্বুর সাথে অফিসে গেলাম, দেখলাম পরিচিত একটা আঙ্কেল কাঁদা মাখা জুতো পায়ে অফিসের মধ্যে হাঁটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? উনি বললেন; নামাজ পড়তে গিয়ে জুতো হারিয়ে ফেলেছেন। লোকটা এমনভাবে লজ্জা পাচ্ছিলেন যেন তিনি নিজের জুতো লিজেই চুরি করেছেন।
তো এই ঘটনা দেখে আমার পরিচিত একটা ভাগ্নের কথা মনে পড়ে গেল, ভাগ্নের বয়স ৪ বছর...
আমার পরিচিত এক দিদির বাসায় গেলাম, তো দিদির ছোট ছেলে ওয়াফি আমাকে বলল
"মামা মামা আমি না একটা ছবি এঁকেছি"
আমি বললাম; তাই নাকি? কিসের ছবি এঁকেছ?
"মামা আমি আকাশের ছবি এঁকেছি"
তারপর ওয়াফি তার ড্রয়িং খাতা আনল এবং আমাকে আকাশের ছবি দেখাল
আমি অবাক হয়ে দেখলাম সেখানে শুধু বড় একটা গোল।
আমাকে বলল মামা কেমন হয়েছে?
আমি বললাম; হ্যাঁ মামা অনেক সুন্দর হয়েছে
"তাহলে একটা গুড দেন"
আমি একটা গুড লিখে দিলাম।
ঠিক পনেরদিন পর আবার দিদির বাসায় গেলাম এবং ওয়াফি আবার ছুটে আসল এবং বলল মামা আমি আরেকটা ছবি এঁকেছি। আমি বললাম এটা কিসের ছবি? সে বলল এটা গাছের ছবি। এবারও দেখলাম একটা মাঝারি গোল। আমি এবারও ওকে গুড দিয়ে চলে আসলাম।
এর পরে আরেকদিন একটা ছবি আনল। আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা কিসের ছবি এঁকেছ ওয়াফি? "মামা এগুলো মানুষ" আমি অবাক হয়ে দেখলাম এবার অসংখ্য ছোট ছোট গোল।
জানতাম মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হয়, কিন্তু এতো দেখছি গোলাতঙ্ক রোগ।
আমি রীতিমত চিন্তায় পড়ে গেলাম...
কিন্তু আমার সেই চিন্তা কিছুদিন পর কেটে গেল।
প্রায় একমাস পর ওয়াফি আমাকে একটা ছবি দেখাল,
আমি বললাম; বাহ খুব সুন্দর ঘর এঁকেছ তো
-মামা এটা ঘর না, এটা মসজিদ
আচ্ছা, তো মসজিদের সামনে বড় বড় দাগ কিসের?
-মামা এগুলো গাছ
ও আচ্ছা, একদম কোণায় লম্বা কি এটা?
-মামা এটা হচ্ছে পুলিশ
আমি অবাক হয়ে গেলাম, মসজিদে হুজুর থাকবে, টুপি পরা মানুষ থাকবে কিন্তু পুলিশ কেন?
-মসজিদে জুতো চুরি হয় না, তাই পুলিশকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছি।
আসলেই প্রতিটি মসজিদের সামনে একটা করে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত।
No comments:
Post a Comment