আরেকটা সত্য ঘটনা শেয়ার করছি সবার সাথে।
যেহেতু আমি আমার সব লেখায় 'রুপন্তি' নামটি ব্যাবহার করি। তাই এই ঘটনাটিও 'রুপন্তি' নামেই তুলে ধরব সবার সাথে।
মেয়েটি তখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। মেয়েটির বাবা অনেকদিন আগেই মারা যান, আর বড় বোন বিদেশে থাকে। পরিবারে মেয়েটি শুধুমাত্র তার মায়ের সাথে থাকে। এইদিকে মেয়েটির বিয়ের জন্য কথাবার্তা শুরু করে দেয় মেয়ের মা, এবং একদিন বিদেশফেরত একটা ছেলের সাথে তার বিয়ে প্রায় ঠিক'ই করে ফেলে।
এদিকে মেয়েটির বিয়েতে মত ছিল না। আর যে ছেলেটার সাথে সেই মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেই ছেলেটি ছিল তার থেকে ১১ বছরের বড়। সেইসাথে ছেলেটা বিদঘুটে চেহারা মেয়েটার একদমই পছন্দ হয় নি। শুধুমাত্র টাকার লোভে বিয়ে ঠিক করেছিল মেয়েটির মা।
Yahoo Messenger চ্যাট করা সেই ছেলেটি 'রুপন্তিকে' ভালোবাসত। 'রুপন্তিও' সেই ছেলেটিকে পছন্দ করত মনে মনে। দুদিন পরেই 'রুপন্তির' বিয়ে, কোন উপায় না পেয়ে সে ছেলেটিকে সবকিছু খুলে বলে এবং ছেলেটি তাকে বিয়ে করতে চায়। 'রুপন্তি' সিরাজগঞ্জ থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে সেই ছেলেটির কাছে।
সকাল বেলা 'রুপন্তির' আত্মীয়স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজির জন্য তেমন একটা উতলা হল না। কারন মেয়ের মায়ের কোন গরজ নাই সেখানে আত্মীয়স্বজনরা কি করবে? 'রুপন্তির' মায়ের কথা; "আপদ বিদায় হইসে"।
এদিকে ঢাকায় এসে কাজী অফিসে বিয়ে করে একটা ফ্ল্যাটে উঠে 'রুপন্তি' ও 'রুদ্র'। দুজনেরই ভরা যৌবন। জাগতিক দিকে যতটা না খেয়াল ছিল তারথেকে বেশি খেয়াল ছিল সারাদিন একে অপরকে আদর সোহাগ করা। আসলে বয়সটায় যে এমন। ঘর-সংসারের চিন্তা করার বয়স কি তখন ছিল?
টানা ৪ মাস আদর সোহাগের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে তাদের বিবাহিত জীবন। ঠিক ৪ মাস পরে শুরু হয় আসল খেলা। ছেলেটা কেমন জানি বদলে যেতে থাকে এবং ছেলেটার মায়ের কথায় মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। 'রুপন্তির' জীবন পড়ে যায় হতাশার এক অতল গহ্বরে। সেই কলঙ্কিত মুখ নিয়ে বেচারী মেয়েটি ফিরে যায় তার মায়ের কাছে।
মায়ের পা ধরে কাঁদতে থাকে মেয়েটি। নিষ্ঠুর পাষাণ মা, ঝাড়ু মুঠো করে ধরে নিজের শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে একটার পর একটা আঘাত করতে থাকে শরীরের সব যায়গাতে। ঝাড়ুর খিল জামা ছিড়ে ঢুকে যায় 'রুপন্তির' পিঠে, হাতে, বুকে। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে সে। কিন্তু কেউ যে নেই তাকে বাঁচানোর। এটা যে তার সেই ৪ মাসের পাপের শাস্তি।
পরিবার, সমাজ সবাই তাদেরকে নিচু চোখে দেখতে থাকে। এইদিকে অর্থলোভী 'রুপন্তির' মা মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর জন্য ধান্দা করতে থাকে। 'রুপন্তির' মায়ের কথা; "৪ মাস তো নিজের ইচ্ছামত ফষ্টিনষ্টি করছস, এখন কে বিয়া করবে তোরে? তার থেকে ভালো ঐ লোকের (রুপন্তির মায়ের কলিগ) সাথে কিছুক্ষণ রুমে যা তোর সাথে কিছুকথা বলবে। বিনিময়ে কিছু টাকা পাব, আর সেটা দিয়ে-খেয়ে পরে বাঁচতে তো পারব?"
'রুপন্তি' পালিয়ে ঢাকা তার মামার বাসায় চলে আসে। বর্তমানে সে উত্তরায় একটা মহিলা হোস্টেলে থাকে ও Shanto-Mariam University তে পড়াশুনা করছে, বিদেশ থেকে পাঠানো বোনের ও মামার দেয়া টাকা ও নিজে টিউশনি করে যা আসে তা দিয়ে ।
যেহেতু আমি আমার সব লেখায় 'রুপন্তি' নামটি ব্যাবহার করি। তাই এই ঘটনাটিও 'রুপন্তি' নামেই তুলে ধরব সবার সাথে।
মেয়েটি তখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। মেয়েটির বাবা অনেকদিন আগেই মারা যান, আর বড় বোন বিদেশে থাকে। পরিবারে মেয়েটি শুধুমাত্র তার মায়ের সাথে থাকে। এইদিকে মেয়েটির বিয়ের জন্য কথাবার্তা শুরু করে দেয় মেয়ের মা, এবং একদিন বিদেশফেরত একটা ছেলের সাথে তার বিয়ে প্রায় ঠিক'ই করে ফেলে।
এদিকে মেয়েটির বিয়েতে মত ছিল না। আর যে ছেলেটার সাথে সেই মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেই ছেলেটি ছিল তার থেকে ১১ বছরের বড়। সেইসাথে ছেলেটা বিদঘুটে চেহারা মেয়েটার একদমই পছন্দ হয় নি। শুধুমাত্র টাকার লোভে বিয়ে ঠিক করেছিল মেয়েটির মা।
Yahoo Messenger চ্যাট করা সেই ছেলেটি 'রুপন্তিকে' ভালোবাসত। 'রুপন্তিও' সেই ছেলেটিকে পছন্দ করত মনে মনে। দুদিন পরেই 'রুপন্তির' বিয়ে, কোন উপায় না পেয়ে সে ছেলেটিকে সবকিছু খুলে বলে এবং ছেলেটি তাকে বিয়ে করতে চায়। 'রুপন্তি' সিরাজগঞ্জ থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে সেই ছেলেটির কাছে।
সকাল বেলা 'রুপন্তির' আত্মীয়স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজির জন্য তেমন একটা উতলা হল না। কারন মেয়ের মায়ের কোন গরজ নাই সেখানে আত্মীয়স্বজনরা কি করবে? 'রুপন্তির' মায়ের কথা; "আপদ বিদায় হইসে"।
এদিকে ঢাকায় এসে কাজী অফিসে বিয়ে করে একটা ফ্ল্যাটে উঠে 'রুপন্তি' ও 'রুদ্র'। দুজনেরই ভরা যৌবন। জাগতিক দিকে যতটা না খেয়াল ছিল তারথেকে বেশি খেয়াল ছিল সারাদিন একে অপরকে আদর সোহাগ করা। আসলে বয়সটায় যে এমন। ঘর-সংসারের চিন্তা করার বয়স কি তখন ছিল?
টানা ৪ মাস আদর সোহাগের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে তাদের বিবাহিত জীবন। ঠিক ৪ মাস পরে শুরু হয় আসল খেলা। ছেলেটা কেমন জানি বদলে যেতে থাকে এবং ছেলেটার মায়ের কথায় মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। 'রুপন্তির' জীবন পড়ে যায় হতাশার এক অতল গহ্বরে। সেই কলঙ্কিত মুখ নিয়ে বেচারী মেয়েটি ফিরে যায় তার মায়ের কাছে।
মায়ের পা ধরে কাঁদতে থাকে মেয়েটি। নিষ্ঠুর পাষাণ মা, ঝাড়ু মুঠো করে ধরে নিজের শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে একটার পর একটা আঘাত করতে থাকে শরীরের সব যায়গাতে। ঝাড়ুর খিল জামা ছিড়ে ঢুকে যায় 'রুপন্তির' পিঠে, হাতে, বুকে। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে সে। কিন্তু কেউ যে নেই তাকে বাঁচানোর। এটা যে তার সেই ৪ মাসের পাপের শাস্তি।
পরিবার, সমাজ সবাই তাদেরকে নিচু চোখে দেখতে থাকে। এইদিকে অর্থলোভী 'রুপন্তির' মা মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর জন্য ধান্দা করতে থাকে। 'রুপন্তির' মায়ের কথা; "৪ মাস তো নিজের ইচ্ছামত ফষ্টিনষ্টি করছস, এখন কে বিয়া করবে তোরে? তার থেকে ভালো ঐ লোকের (রুপন্তির মায়ের কলিগ) সাথে কিছুক্ষণ রুমে যা তোর সাথে কিছুকথা বলবে। বিনিময়ে কিছু টাকা পাব, আর সেটা দিয়ে-খেয়ে পরে বাঁচতে তো পারব?"
'রুপন্তি' পালিয়ে ঢাকা তার মামার বাসায় চলে আসে। বর্তমানে সে উত্তরায় একটা মহিলা হোস্টেলে থাকে ও Shanto-Mariam University তে পড়াশুনা করছে, বিদেশ থেকে পাঠানো বোনের ও মামার দেয়া টাকা ও নিজে টিউশনি করে যা আসে তা দিয়ে ।
No comments:
Post a Comment