রাফি মাঠে ফুটবল খেলছে। খেলতে খেলতে কখনও যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে সে টেরই পায় নি। সাইকেলটাও সাথে নাই আজ, গায়ে শুধু একটা জ্যাকেট আর পরনে জিন্সের প্যান্ট। দ্রুত মাঠ থেকে বেরিয়ে হেঁটে হেঁটে রওনা দিল বাসার উদ্দেশ্যে।
রাস্তার পাশে সবুজ ঘাসের উপর অনেক গুলো কবুতরের জোড়া বসে আছে। কেউ কেউ গায়ের সাথে লেগে বসে আছে, আবার কেউ কেউ দুষ্টুমি করছে। বাইকের পাশে একটা কাপল বসেছে; মেয়েটি তার গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে ছেলেটিকে বসার জন্য আর মেয়েটি বসে আছে ঘাসের উপর। তার ঠিক পাশেই একজন বৃদ্ধ লোক গাঁয়ে ছেড়া পাতলা একটা জামা পরে ও হাতে একটা লাঠি ধরে ঘাসের উপর বসে আছে আর কণকণে শীতে কাঁপছে।
ঐ বৃদ্ধ লোকটিকে অনেকে টাকা দিতে চাইল কিন্তু প্রতিবারেই তিনি বললেন “আমি ভিক্ষুক না বাবা, আমার টাকার দরকার নাই”।
রাফি এগুলো দেখে সামনে হাঁটা দিল। কিছুক্ষণ পরে নিজের অজান্তেই সে ইউটার্ন নিল এবং ঐ বৃদ্ধ লোকটির কাছে গেল। রাফি নিজের গা থেকে জ্যাকেট টি খুলে ঐ বৃদ্ধ লোকটির পিঠের উপর রাখল।
- আমি ভিক্ষুক না বাবা (বৃদ্ধ লোকটি বলল)
- আমি কি বলেছি আপনি ভিক্ষুক? আমি আপনাকে সাহায্য করছি মাত্র (রাফি বলল)
- বাবা আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই আমি ঠিক আছি (তার কথার ধরণ শুনে বুঝতে পারল লোকটি শিক্ষিত)
- আপনি আমার দাদার বয়সী, আমার দাদার মত। আমার দাদা যদি এভাবে শীতে কাঁপত আমি কী তাকে সাহায্য করতাম না?
- পরে বৃদ্ধ লোকটি কান্না করতে করতে রাফির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল...
এতক্ষণে রাফির পেছনে মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে এবং সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এটা দেখছে (বাঙ্গালীর স্বভাব আর কি) ।
এটা দেখে,কেন জানি রাফির মধ্যে একটা প্রতিবাদী স্বত্বা জেগে উঠল। সে একটু জোরে করেই বলে উঠল। “আপনারা কি মানুষ, একজন বৃদ্ধ মানুষ শীতে কাঁপছে অথচ আপনারা কেউ এগিয়ে আসলেন না, নিজের গায়ের চাদর মাটিতে বিছিয়ে বসে আছেন আর এই মানুষটা শীতে মরছে”।
এটা শুনে ঐ মেয়েটা মাটি থেকে চাদর তুলে ততক্ষণে ওর বয়ফ্রেন্ডের বাইকে চড়ে সেই জায়গা থেকে চলে গিয়েছে।
রাফি পেছন ফিরে চলে আসতে লাগল। মুহূর্তেই ওখানকার সব মানুষ হাত তালি দিয়ে উঠল। পেছন থেকে হাততালির শব্দ আর রাফি পকেটে হাত ঢুকিয়ে নায়কের মত চলে আসতে থাকল।
ঐ ছেলেটি হচ্ছে আমার বন্ধুঃ Abdulla Al Rafi
আমি গর্বিত আমার বন্ধুকে নিয়ে, আমি গর্বিত তার কাজে, আমি গর্বিত তাকে নিয়ে লিখতে পেরে।
রাস্তার পাশে সবুজ ঘাসের উপর অনেক গুলো কবুতরের জোড়া বসে আছে। কেউ কেউ গায়ের সাথে লেগে বসে আছে, আবার কেউ কেউ দুষ্টুমি করছে। বাইকের পাশে একটা কাপল বসেছে; মেয়েটি তার গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে ছেলেটিকে বসার জন্য আর মেয়েটি বসে আছে ঘাসের উপর। তার ঠিক পাশেই একজন বৃদ্ধ লোক গাঁয়ে ছেড়া পাতলা একটা জামা পরে ও হাতে একটা লাঠি ধরে ঘাসের উপর বসে আছে আর কণকণে শীতে কাঁপছে।
ঐ বৃদ্ধ লোকটিকে অনেকে টাকা দিতে চাইল কিন্তু প্রতিবারেই তিনি বললেন “আমি ভিক্ষুক না বাবা, আমার টাকার দরকার নাই”।
রাফি এগুলো দেখে সামনে হাঁটা দিল। কিছুক্ষণ পরে নিজের অজান্তেই সে ইউটার্ন নিল এবং ঐ বৃদ্ধ লোকটির কাছে গেল। রাফি নিজের গা থেকে জ্যাকেট টি খুলে ঐ বৃদ্ধ লোকটির পিঠের উপর রাখল।
- আমি ভিক্ষুক না বাবা (বৃদ্ধ লোকটি বলল)
- আমি কি বলেছি আপনি ভিক্ষুক? আমি আপনাকে সাহায্য করছি মাত্র (রাফি বলল)
- বাবা আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই আমি ঠিক আছি (তার কথার ধরণ শুনে বুঝতে পারল লোকটি শিক্ষিত)
- আপনি আমার দাদার বয়সী, আমার দাদার মত। আমার দাদা যদি এভাবে শীতে কাঁপত আমি কী তাকে সাহায্য করতাম না?
- পরে বৃদ্ধ লোকটি কান্না করতে করতে রাফির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল...
এতক্ষণে রাফির পেছনে মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে এবং সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এটা দেখছে (বাঙ্গালীর স্বভাব আর কি) ।
এটা দেখে,কেন জানি রাফির মধ্যে একটা প্রতিবাদী স্বত্বা জেগে উঠল। সে একটু জোরে করেই বলে উঠল। “আপনারা কি মানুষ, একজন বৃদ্ধ মানুষ শীতে কাঁপছে অথচ আপনারা কেউ এগিয়ে আসলেন না, নিজের গায়ের চাদর মাটিতে বিছিয়ে বসে আছেন আর এই মানুষটা শীতে মরছে”।
এটা শুনে ঐ মেয়েটা মাটি থেকে চাদর তুলে ততক্ষণে ওর বয়ফ্রেন্ডের বাইকে চড়ে সেই জায়গা থেকে চলে গিয়েছে।
রাফি পেছন ফিরে চলে আসতে লাগল। মুহূর্তেই ওখানকার সব মানুষ হাত তালি দিয়ে উঠল। পেছন থেকে হাততালির শব্দ আর রাফি পকেটে হাত ঢুকিয়ে নায়কের মত চলে আসতে থাকল।
ঐ ছেলেটি হচ্ছে আমার বন্ধুঃ Abdulla Al Rafi
আমি গর্বিত আমার বন্ধুকে নিয়ে, আমি গর্বিত তার কাজে, আমি গর্বিত তাকে নিয়ে লিখতে পেরে।
No comments:
Post a Comment