পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা সবচাইতে মধুর। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর এই সম্পর্কটা অনেক সময় সংসারের একটা গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। নিজেদের ভালোলাগা খারাপ লাগা কোনকিছুকেই দেখা হয়ে উঠে না সংসারের ঝামেলায়।
স্ত্রী সারাদিন ঘরের কাজ করবে বাচ্চা-কাচ্চা লালনপালন করবে। আর স্বামী জীবিকার তাগিদে দৌড়াবে টাকার পিছু। এটা যেন একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই রীতি পালন করতে গিয়ে কখন যে একজন আরেকজনের কাছ থেকে দূরে সরে যায় সেটা বুঝতেও পারে না।
একই বিছানায় পাশাপাশি ঘুমালেই একজন আরেকজনের কাছে আসা যায় না? শুধুমাত্র দেহের মিলন হলেই আত্মার পরিপূর্ণতা ঘটে না। আত্মার পরিপূর্ণতার জন্য প্রয়োজন আত্মার সাথে আত্মার মিলন।
তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর একই স্বামীর ঘর করে, একই বিছানায় রাত কাটিয়ে, বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে, একে অপরকে আদর সোহাগ করে। কিন্তু গভীর রাতে স্বামীর মৃত্যুর পর সেই স্বামীর লাশের পাশে পাঁচ মিনিটও একা থাকতে পারে না। ভয়ে তার বুক ফেটে যায়। স্বামীর লাশ যেন তার কাছে ভৌতিক একটা বস্তু।
"শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের"- একটা লাইন মনে পড়ে গেল---
"ইহা আর একটা শক্তি যাহা বহু স্বামী-স্ত্রী এক শ’ বৎসর একত্রে ঘর করার পরেও হয়ত তাহার কোন সন্ধান পায় না"
হ্যাঁ সত্যিই বহু স্বামী-স্ত্রী এক শ’ বৎসর একত্রে ঘর করে তাদের দেহের মিনল ঘটলেও আত্মার মিলন ঘটে না, আর তাইতো স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর লাশের পাশে একা বসে থাকতে স্ত্রীর বুক দুরুদুরু কাঁপে !!