Thursday, October 27, 2016

পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা সবচাইতে মধুর...


পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা সবচাইতে মধুর। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর এই সম্পর্কটা অনেক সময় সংসারের একটা গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। নিজেদের ভালোলাগা খারাপ লাগা কোনকিছুকেই দেখা হয়ে উঠে না সংসারের ঝামেলায়। 



স্ত্রী সারাদিন ঘরের কাজ করবে বাচ্চা-কাচ্চা লালনপালন করবে। আর স্বামী জীবিকার তাগিদে দৌড়াবে টাকার পিছু। এটা যেন একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই রীতি পালন করতে গিয়ে কখন যে একজন আরেকজনের কাছ থেকে দূরে সরে যায় সেটা বুঝতেও পারে না। 



একই বিছানায় পাশাপাশি ঘুমালেই একজন আরেকজনের কাছে আসা যায় না? শুধুমাত্র দেহের মিলন হলেই আত্মার পরিপূর্ণতা ঘটে না। আত্মার পরিপূর্ণতার জন্য প্রয়োজন আত্মার সাথে আত্মার মিলন।



তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর একই স্বামীর ঘর করে, একই বিছানায় রাত কাটিয়ে, বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে, একে অপরকে আদর সোহাগ করে। কিন্তু গভীর রাতে স্বামীর মৃত্যুর পর সেই স্বামীর লাশের পাশে পাঁচ মিনিটও একা থাকতে পারে না। ভয়ে তার বুক ফেটে যায়। স্বামীর লাশ যেন তার কাছে ভৌতিক একটা বস্তু। 



"শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের"- একটা লাইন মনে পড়ে গেল---



"ইহা আর একটা শক্তি যাহা বহু স্বামী-স্ত্রী এক শ’ বৎসর একত্রে ঘর করার পরেও হয়ত তাহার কোন সন্ধান পায় না"



হ্যাঁ সত্যিই বহু স্বামী-স্ত্রী এক শ’ বৎসর একত্রে ঘর করে তাদের দেহের মিনল ঘটলেও আত্মার মিলন ঘটে না, আর তাইতো স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর লাশের পাশে একা বসে থাকতে স্ত্রীর বুক দুরুদুরু কাঁপে !!
Read More

আমাদের হাত পা যদি নিজে নিজে ট্রিটমেন্ট হয়ে আসতে পারত?



একদিন রাতের বেলা দরজার সাথে ধাক্কা লেগে আমার পায়ের একটা নখ উঠে যায় এবং অনেক রক্ত বের হতে থাকে। সেই রাতে ডাক্তারের কাছে যাওয়াও সম্ভব না, কোন ডিসপেনসারি তেও না।

প্রাথমিক অবস্থায় সেভলন ভেজা তুলা পেঁচিয়ে ভাবতে লাগলাম। আচ্ছা যদি এমন হত, যে আমি বাসায় বসে রইলাম আর আমার পা পাঠিয়ে দিলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুধু একটা পা নিজে 


নিজে ট্রিটমেন্ট হয়ে আবার বাসায় চলে আসত। তাহলে কেমন হত?

আমার পা কেটে গেছে, একজনের হাত কেটে গেছে বা শরীরের কোন অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাহলে কেন পুরো মানুষটাকে হাসপাতালে যেতে হবে? শুধুমাত্র যে অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেই তো চলে। শুধু শুধু কষ্ট করে, এতো ট্রাফিক জ্যাম উপেক্ষা করে কেন একজন মানুষকে হাসপাতালে যেতে হবে?

ধরুন আমার পা কেটে গেছে আমি আমার পা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলাম আর শরীরের বাকি অঙ্গ দিয়ে বাসার কাজ, ইউনিভার্সিটির কাজ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলাম।

হাসপাতালের বেডে শুধুমাত্র একটা পা, একটা হাত বা একটা মাথা শুয়ে আছে। ভাবুন তো কেমন লাগবে? হ্যাঁ বিষয়টা যদিও একটু ভয়ংকর।

তবুও হাসপাতালে যায়গার ঘাটতি হবে না। কোন রোগিকে হাসপাতালের ফ্লোরে শুতে হবে না। সিট ফাঁকা নেই বলে কোন রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফেরত যেতে হবে না।

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতেই পারব না !!
Read More

দুজনে একসাথে সিনেমা হলে ঢুকে সামনের দিকে চেয়ারে বসে পড়ল...


দুজনে একসাথে সিনেমা হলে ঢুকে সামনের দিকে চেয়ারে বসে পড়ল এবং সিনেমা দেখতে থাকল। ঠিক আধাঘণ্টা পর রুদ্র রুপন্তিকে বলল...
"চল আমরা পেছন দিকে গিয়ে বসি"

অতঃপর তারা দুজনে পেছনের সিটে গিয়ে বসে পড়ল। সিনেমা চলছে...
হটাত রুদ্র রুপন্তির কানেকানে ফিসফিস করে বলল...
"জান একটা কিস করি?"

"ও আচ্ছা এই জন্যই তুমি আমাকে পেছনে ডেকে এনেছ তাই না? আমি এখনি সামনে গিয়ে বসছি দাঁড়াও"-রুপন্তি বলল

"সরি জান প্লীজ যেও না, ওকে আমি কিছুই করব না"- রুদ্র বলল

সিনেমা চলছে...ঠিক পনের মিনিট পর রুদ্র হটাত করে রুপন্তির গালে একটা কিস করল। রুপন্তি একটু চমকে উঠে, লজ্জা পেয়ে হাসিহাসি চোখে বলল, "এটা কি হল?"
রুদ্র লাজুক চোখে রুপন্তির দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগল এবং রুপন্তির হাত তার হাতের মধ্যে নিয়ে আবার দুজনে সিনেমা দেখা শুরু করল।

সিনেমা চলছে...ঠিক দশ মিনিট পর রুপন্তিও হটাত করে রুদ্রের গালে একটা কিস করল। রুদ্র চমকে উঠে, খুশিতে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরল।

সিনেমা চলছে...
সেই সাথে চলতে থাকল রুপন্তি ও রুদ্রের সিনেমা...
Read More

জানতাম মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হয়, কিন্তু এতো দেখছি গোলাতঙ্ক রোগ


একদিন আব্বুর সাথে অফিসে গেলাম, দেখলাম পরিচিত একটা আঙ্কেল কাঁদা মাখা জুতো পায়ে অফিসের মধ্যে হাঁটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? উনি বললেন; নামাজ পড়তে গিয়ে জুতো হারিয়ে ফেলেছেন। লোকটা এমনভাবে লজ্জা পাচ্ছিলেন যেন তিনি নিজের জুতো লিজেই চুরি করেছেন।


তো এই ঘটনা দেখে আমার পরিচিত একটা ভাগ্নের কথা মনে পড়ে গেল, ভাগ্নের বয়স ৪ বছর...


আমার পরিচিত এক দিদির বাসায় গেলাম, তো দিদির ছোট ছেলে ওয়াফি আমাকে বলল
"মামা মামা আমি না একটা ছবি এঁকেছি"
আমি বললাম; তাই নাকি? কিসের ছবি এঁকেছ?
"মামা আমি আকাশের ছবি এঁকেছি"



তারপর ওয়াফি তার ড্রয়িং খাতা আনল এবং আমাকে আকাশের ছবি দেখাল
আমি অবাক হয়ে দেখলাম সেখানে শুধু বড় একটা গোল।



আমাকে বলল মামা কেমন হয়েছে?
আমি বললাম; হ্যাঁ মামা অনেক সুন্দর হয়েছে
"তাহলে একটা গুড দেন"
আমি একটা গুড লিখে দিলাম।



ঠিক পনেরদিন পর আবার দিদির বাসায় গেলাম এবং ওয়াফি আবার ছুটে আসল এবং বলল মামা আমি আরেকটা ছবি এঁকেছি। আমি বললাম এটা কিসের ছবি? সে বলল এটা গাছের ছবি। এবারও দেখলাম একটা মাঝারি গোল। আমি এবারও ওকে গুড দিয়ে চলে আসলাম।


এর পরে আরেকদিন একটা ছবি আনল। আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা কিসের ছবি এঁকেছ ওয়াফি? "মামা এগুলো মানুষ" আমি অবাক হয়ে দেখলাম এবার অসংখ্য ছোট ছোট গোল।


জানতাম মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হয়, কিন্তু এতো দেখছি গোলাতঙ্ক রোগ।
আমি রীতিমত চিন্তায় পড়ে গেলাম...
কিন্তু আমার সেই চিন্তা কিছুদিন পর কেটে গেল।



প্রায় একমাস পর ওয়াফি আমাকে একটা ছবি দেখাল,
আমি বললাম; বাহ খুব সুন্দর ঘর এঁকেছ তো
-মামা এটা ঘর না, এটা মসজিদ
আচ্ছা, তো মসজিদের সামনে বড় বড় দাগ কিসের?
-মামা এগুলো গাছ
ও আচ্ছা, একদম কোণায় লম্বা কি এটা?
-মামা এটা হচ্ছে পুলিশ
আমি অবাক হয়ে গেলাম, মসজিদে হুজুর থাকবে, টুপি পরা মানুষ থাকবে কিন্তু পুলিশ কেন?
-মসজিদে জুতো চুরি হয় না, তাই পুলিশকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছি।



আসলেই প্রতিটি মসজিদের সামনে একটা করে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত।
Read More

এক অপরিণত ভালোবাসা


বিয়ের পর থেকেই রুপন্তির স্বপ্ন তার কোল জুড়ে একটা ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নিবে।

সাত বছর সংসার জীবন কিন্তু আজও রুপন্তি একটা সন্তানের মুখ দেখতে পারল না। যখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারল আসলে সমস্যা তার স্বামীর না তার নিজের। তখন নিজেকে এই পৃথিবীর সবথেকে অপরাধী মনে হল রুপন্তির। তার নিজের ইচ্ছাকে না হয় বিসর্জন দিল, কিন্তু তার স্বামীর কি হবে?

রুপন্তির স্বামী একটা বেসরকারি অফিসে চাকুরী করে। সেখানে রিতা নামের একটি মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয় এবং তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব পর্যন্ত গড়ায়।

রিতার স্বামী থাকে বিদেশে। বিয়ের তিন বছর পরেই বিদেশে চলে যায় এবং সেখান থেকে অল্পকিছু টাকা পাঠিয়ে দেয় আর রিতা চাকুরী করে। এইতো এভাবেই চলছিল রিতার সংসার জীবন।

রিতার সাথে রুদ্র তার সাংসারিক জীবনের সব কথা শেয়ার করে। অফিসের ফাঁকে দুজনে চলে যায় কোন রেস্টুরেন্টে বা চায়ের দোকানে। স্বামীর বিদেশে থাকার কষ্টের কথা আর স্ত্রীর বাচ্চা না হওয়ার কষ্টের কথা তারা একে অপরের কাছে শেয়ার করে অনেক তৃপ্তি পায়। আর তাইতো একটু সময় পেলেই দুজনে মেতে উঠে গল্পে।

একদিন ফোন করে রিতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। রুদ্র জিজ্ঞেস করে জানতে পারে তার স্বামীর সাথে ফোনে ঝগড়া হয়েছে। কি করবে বুঝতে না পেরে রুদ্র চলে যায় রিতার বাসায়। রিতা দরজা খুলেই রুদ্রের বুকে মাথা রেকে কান্না শুরু করে। রুদ্র একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলেও পরবর্তীতে নিজেকে সামলে নিয়ে রিতাকে জড়িয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পর দুজনের ঘোর কাটলে একে অপরকে বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত করে সোফায় বসে গল্প শুরু করে। এভাবেই ধীরে ধীরে নিজের অজান্তেই একে অপরের কাছে চলে আসে রুদ্র ও রিতা।

রুপন্তি সারাক্ষণ আনমনা হয়ে বসে থাকত। সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না যে, সে আর কোনদিন মা ডাক শুনতে পারবে না। এদিকে রুদ্রের আনমনা ভাব সে ধরে ফেলে। অনেকদিন থেকেই লক্ষ্য করতে থাকে রুদ্রের দেহ বিছানায় পড়ে থাকলেও মন থাকে অন্য কোথাও। সেই সাথে রুদ্রের মেজাজ দিন দিন খিটখিটে হতে থাকে। অল্পতেই রেগে যায়।

একদিন রুপন্তি ও রুদ্রের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয় এবং রুদ্র বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায় রিতুর বাসায়। রিতু রুদ্রকে দেখে ভীষণ খুশি হয় এবং চা বানানোর জন্য রান্নাঘরে চলে যায়। রুদ্র সোফা থেকে উঠে রিতাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দেয়। রিতা একটু চমকে উঠলেও সে অনুভূতি, ভালোলাগা যেন তার জীবনে প্রথম। দুজনে স্থির হয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। কিছুদিন পরেই রুদ্র রিতাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং এতে রিতাও অমত করল না।

যখন রুদ্র তার স্ত্রী রুপন্তির চোখকে ফাঁকি দিয়ে ও রিতা তার স্বামীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। ঠিক এমন সময় রিতার স্বামী কিছু না জানিয়েই বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসে। এতদিন পর স্বামীকে দেখে চমকে উঠলেও মনে মনে ভয় হচ্ছিল রুদ্রের সাথে গড়ে উঠা অপরিণত ভালোবাসার জন্য।

রিতার স্বামী সেই রাতে রিতাকে অনেকবার আদর করে। রিতা পৃথিবীর সবকিছু ভুলে গিয়েছিল সেই সুখের মুহূর্তে। তার মনে পড়তে থাকে তাদের বাসর রাতের কথা। বিবাহিত জীবনের কথা এবং সেই রাতেই রিতার স্বামী রিতাকে জানায় সে একেবারে দেশে ফিরে এসেছে। রিতার মন ঘুরে যায়। স্বামীর আদর সোহাগে সবকিছু ভুলে যায় রিতা।

রুদ্র সবকিছু জানার পর আর কিছুই করার ছিল না। রিতা রুদ্রের কাছে মাফ চেয়ে নিয়েছিল। তার কিছুদিন পর রুপন্তির মৃত্যু হয়। রুপন্তি জরায়ু ক্যান্সারে ভুগছিল...

রাস্তায় রাতের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোষ্টের মত
ধূধূ মরুভূমির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা দাঁড়কাকের মত

রুদ্র একা !! আজ সে বড় একা !!
Read More

সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রমোশন নিয়ে যেভাবে পরকীয়ায় রুপ নেয়...


বিয়ের পর স্ত্রীকে দেশে ফেলে রেখে স্বামী চলে যায় বিদেশে। স্ত্রী পড়ে থাকে দেশে আর স্বামী জীবিকার তাগিদে বিদেশে ছুটে টাকার পেছনে। তবে বিদেশ যাওয়ায় আগে স্ত্রীকে নানান রকম দোহাই, ওয়াদা, কসম দিয়ে যায় যেন তার অবর্তমানে অন্য পুরুষের সাথে কথা না বলে, দেখা না করে বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট না করে।

অপরদিকে স্ত্রীও তার স্বামীকে কসম দিয়ে দেয় যেন বিদেশে গিয়ে অন্য মেয়ের পাল্লায় না পড়ে। তাদের বিশ্বাসের অমর্যাদা যেন না হয়। অতঃপর বিদেশ যাওয়ার পর দুজন দুজনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে কবে তারা স্বামী-স্ত্রী একত্রে হবে। সে অপেক্ষার প্রহর যে কতটা কষ্টকর তা প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী বোঝে।

বিদেশে থাকাকালীন সময় ফোনে দুজনের মধ্যেই কথোপকথন হতে থাকে। একে অপরের খোঁজ খবর নেয়, সংসারের অবস্থা নিয়ে হয়, কথা হয় একজনের ভালোলাগা খারাপলাগা নিয়ে।

কিন্তু স্বামী বিদেশে থাকাকালীন সময়ে স্বামীকে ছাড়া স্ত্রীরা একাকীত্ব বোধ করে। আর এই একাকীত্ব বোধ কাউকে এতোটা গ্রাস করে ফেলে যে তার পক্ষে একা থাকা অসম্ভবপর হয়ে দাঁড়ায়। আর তখনই সে একটা বন্ধুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এবং সেই প্রয়োজনীয়তা এক সময় আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়।

অতঃপর একটি পরপুরুষের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায় এবং তার সাথে সে মনের সব কথাগুলো শেয়ার করতে থাকে। এই মনের ভাব শেয়ার করতে করতে দুজন একসময় এতোটা কাছে চলে আসে যে, তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রমোশন নিয়ে পরকীয়ায় রুপ নেয়। এবং স্বামীর অভাব সেই বন্ধুর মাধ্যমে পূরণ করতে থাকে।

অপরদিকে স্ত্রীর অবর্তমানে স্বামীও একাকীত্ব বোধ করতে থাকে। পুরুষেরও তো মন আছে? বরং নারীর থেকে পুরুষের পুরুষত্বের চাহিদা অনেকাংশে একটু বেশিই। তাই স্বামী তার পুরুষত্বের চাহিদা মেটানোর জন্য চলে যায় কোন আবাসিক হোটেলে বা জড়িয়ে পড়ে কোন এক অনৈতিক সম্পর্কে।

আবার, এমন অনেক স্বামী-স্ত্রীকে দেখেছি যারা স্বামীর দিয়ে যাওয়া সেই ওয়াদা, সেই কসম তিল তিল করে রক্ষা করতে থাকে। নিজের ভালোলাগা, পছন্দ, পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সবকিছু অতি যত্ন করে তুলে রেখে দেয় তার স্বামীর জন্য। স্বামীর আমানাত রক্ষা করতে থাকে।

পরতঃপক্ষে এই শ্রেণীর স্বামী-স্ত্রীরা হচ্ছে প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী !!
Read More

পরকীয়ার কারণ সামাজিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, হতাশা, অপ্রাপ্তি আরও অনেক অনেক...


শুধু কি স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকলেই পরকীয়া হয়?
একসাথে থাকলে হয় না?
পরকীয়ার কারন কি শুধুই একটা?

উপরের ৩ টা প্রশ্নের উত্তরই 'না' পরকীয়ার অনেক কারন...

সামাজিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, হতাশা, অপ্রাপ্তি আরও অনেক অনেক।

>-- একটা সমাজ গঠন হয় অনেকগুলো পরিবারের মাধ্যমে। সুশীল সমাজ বলে আমরা যাদের জেনে থাকি তারা কি আসলেই সুশীল? নিজেকে প্রশ্ন করুন, উত্তর আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন। সামাজিক কারনেও পরকীয়া হতে পারে।

>-- মানসিক কারণ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। 'রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকে একটা লাইন ছিল; "মানুষের মন সকালে বদলায়, বিকেলে বদলায়, মিনিটে বদলায় ঘন্টায় বদলায়" হ্যাঁ আসলেই তাই। কার মন কখন বদলায় তা বলা মুশকিল। মানুষের মন অনেক জটিল। মানসিক কারনেও পরকীয়া হতে পারে।

>-- অর্থনৈতিক দিকের কথা আমাদের সবারই জানা। একটা ডায়লগ আপনাদের সবারই মুখস্থ "অভাব যখন আসে, ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়" হ্যাঁ সত্যি তাই। মানুষ পেটের দায়ে সবকিছুই করতে পারে। কথায় আছে না? "অভাবে সভাব নষ্ট"।

>-- দাম্পত্য জীবনে হতাশা খুবই ভয়াবহ ভুমিকা পালন করে। হতাশা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন প্রকৃত ভালোবাসার, একটু আশার, একটু স্বপ্নের। কিন্তু সেই স্বপ্নের দেখা, ভালোবাসার দেখা যাদি স্ত্রী না পায় তার স্বামীর কাছে বা স্বামী না পায় তার স্ত্রীর কাছে তখনই পরকীয়া প্রেমের আবির্ভাব ঘটে।

>-- অপ্রাপ্তি, মানুষের চাওয়ার শেষ নাই। যার একটা রিকশা আছে, সে চায় সিএনজি কিনতে, যার একটা বাড়ি আছে সে প্রায়ভেট কার কিনতে। যার হাতের সোনার বালা আছে সে চায় গলায় সোনার হার পরতে। মানুষের চাহিদার কোন শেষ নাই। যখনই একজন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন অপ্রাপ্তি ঘটে শুরু হয় পরকীয়া।

সর্বশেষে;
টাকা-পায়সা, গাড়ি-বাড়ি, ধন-দৌলত সবকিছুই আছে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিলনের সুখ নাই। তাহলেই সবকিছু বৃথা। 'মিলনের সুখ' সবথেকে বড় সুখ। যতই বলুক না কেন; 'অনেকের তো বাচ্চা হয় না, তারা কি সুখে নাই?' কিন্তু একদিন হলেও তার 'মা' ডাক শোনার ইচ্ছে হবে, স্বামীর ইচ্ছে হবে 'বাবা' ডাক শোনার। আর এখান থেকেই শুরু হয় পরকীয়া প্রেম ও প্রবর্তিতে ২য় বিয়ে (কারও কারও ক্ষেত্রে)।
Read More

About me

Blogroll

About